Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদেরঅর্জনসমূহ

 

০১| নিরাপদ রাজবাড়ী গড়তে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক সফলতা:-

 

সর্বহারা, চরমপন্থী অধ্যুষিত এ জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী ০৫ টি জেলার সীমানা রয়েছে। ফলে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করাসহ পুলিশের স্থাপনা, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ একটি বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ।  তাই চরমপন্থী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার জেলা পুলিশের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমাদের নিরলস  পরিশ্রম, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনায় যথাপোযুক্ত কৌশল, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এবং সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে এ জেলা “গ” গ্রুপে অস্ত্র অদ্ধার অভিযানে 2য় স্থান অধিকার করেছে। ২০১৭ সাল থেকে এযাবৎ কার্যকর গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে ইতিমধ্যেই আসামীসহ বিদেশী পিস্তল ০৩টি, দেশী পিস্তল ০১টি, বিদেশী রিভালবার ০২টি, দেশী রিভালবার ০১টি, ওয়ান শুটারগান ৩৬টি ও ১৯ টি অন্যান্য অস্ত্রসহ ২২  রাউন্ড গুলি,   ৫১ রাউন্ড কার্তুজ এবং  ৫৩  জন এজাহার নামীয় আসামী গ্রেফতার হয়।

 

০২। মাদকমুক্ত রাজবাড়ী গড়ার লক্ষ্যে অবৈধ মাদক উদ্ধার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ :-

 

বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল মহোদয়ের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে মাদক উদ্ধারে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। এ জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী ০৫টি জেলার সীমানা রয়েছে। এ জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া পতিতা পল্লী মাদকের আখড়া নামে পরিচিত ছিল। ফলে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীরা দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার পোড়াভিটা নামক স্থানে রমরমা মাদক ব্যবসা করতো। দৌলতদিয়াঘাট এলাকার পোড়াভিটাকে মাদক মুক্ত করার লক্ষ্যে এ জেলার পুলিশ সুপার সরেজমিনে উপস্তিত থেকে অভিযান পরিচালনা, নিবিড় তদারকী ও একান্ত প্রচেষ্টার কারণে দৌলতদিয়াঘাট এলাকার পোড়াভিটাকে শতভাগ মাদকমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ জেলার পুলিশ সুপার জেলাকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক সভা ও সেমিনার করেন এবং যুবসমাজের মধ্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করেন। মাদক নিমূলের অংশ হিসাবে পুলিশ সুপার এর সঠিক নির্দেশনা প্রদান, পুলিশ সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্টা ও কার্যকর গোয়েন্দা তৎপরতার কারণে ২০১৭ সাল থেকে এযাবৎ আসামীসহ ২৭ ১৮৭পিচ ইয়াবা,৫৯ কেজি ১৯৩ গ্রাম ৪৫ পুড়িয়া গাঁজা,  ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ২৮৭ পুড়িয়া হেরোইন, ২৫৯৪ বোতল ফেন্সিডিল ও ২৮৭ লিটার চোলাইমদ এবং ৮৪৫ জন এজাহার নামীয় আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।