প্রেস রিলিজ
তানভির হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার।
সূত্রঃ রাজবাড়ী সদর থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-১৩/১১/২০২৪; ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০।
ঘটনার বিবরনঃ
ইং ১২/১১/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় তানভির শেখ (১৯), পিতা-বাবর আলী শেখ, মাতা-পপি আক্তার, সাং-বিনোদপুর, ডাকঘর-রাজবাড়ী সদর, থানা ও জেলা-রাজবাড়ীসহ ২/৩ জন বন্ধু রাজবাড়ী সদর থানাধীন বিনোদপুর সাকিনস্থ তানভির এর বসত বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে জনৈক সাহাবুদ্দিন মুন্নু এর মুদির দোকানের সামনে যায়। কিছুক্ষন পর দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে একই তারিখ রাত অনুমান ০৮.৪৫ ঘটিকার সময় রাজবাড়ী সদর থানাধীন বিনোদপুর সাকিনস্থ বিনোদপুর সার্বজনীন দূর্গা পুজা মন্দির সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় বাঁশঝাড়ের নিচে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওৎ পেতে থাকা এজাহারনামীয় ১নং আসামী সবুজ ও ২নং আসামী মোঃ জিসান এবং অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় তানভির শেখকে ধারালো ছুরি দিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে থাকা উপস্থিত লোকজন তানভির শেখকে রাজবাড়ী সদর হাসপতালে নিয়ে যায়। তানভির এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন। এ সংক্রান্তে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
রাজবাড়ী জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোছাঃ শামিমা পারভীন এঁর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অত্র মামলার ঘটনা তদন্তে থানা পুলিশ ও ডিবির সমন্বয়ে একাধিক টিম মাঠে নামে। মামলা তদন্তের একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজাহারনামীয় ২নং আসামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জিসান (২১), পিতা-নুরু, সাং-কামালদিয়াকান্দি, ইউপি-দাদসী, থানা-রাজবাড়ী সদর, জেলা-রাজবাড়ী’কে গত ইং ১৭/১১/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ১০.৫০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ২নং আসামী জিসান পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে মৃত তানভির শেখের হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। আরও জিজ্ঞাসাবাদে এজাহারনামীয় ২নং আসামী জিসানের নিজ স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে রাজবাড়ী জেলার সদর থানাধীন মিজানপুর ইউপির সোনাকান্দর কবর অর্ন্তগত মেীলভীঘাট সংলগ্ন স্থানের ভিতর হতে অদ্য ইং ১৮/১১/২০২৪ তারিখ ১৩.৫০ ঘটিকার সময় ১। ১টি স্টিলের সুইচ গিয়ার চাকু, কাঠের হাতলসহ যার দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি ২। ১টি কাঠের হাতলযুক্ত লোহার চাপাতি যার দৈর্ঘ্য বাটসহ ১৬ ইঞ্চি আলামত উদ্ধার করা হয় যা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত আসামী জিসানকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস